ঢাকা: এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে একটি বিক্ষোভ সমাবেশে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে গণ–অভ্যুত্থানবিরোধী কোনো চক্রান্ত করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে।
এবি যুব পার্টির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব এ বি এম খালিদ হাসান, আবদুল বাসেত মারজান এবং মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।
সমাবেশে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় শত্রুদের চিহ্নিত করেছে। এই দেশের প্রধান শত্রু ভারত ও তাদের তাঁবেদার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যগুলো মূলত এদেরই রক্ষা করার প্রচেষ্টা। জনগণ এটি আর মানবে না।”
এসময় এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, “স্বৈরাচার ও খুনির দোসর হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে আমরা আর এক মিনিটও বঙ্গভবনে দেখতে চাই না। জনগণের ক্ষোভের আগুনে তিনি পুড়ে যেতে বাধ্য হবেন, যদি পদত্যাগ না করেন।”
এ বি এম খালিদ হাসানও কঠোর ভাষায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, “দেশের মানুষ যখন শহীদদের কবর দিচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগ নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। এর পেছনে রয়েছে অবৈধ রাষ্ট্রপতির সমর্থন। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় জনরোষের মুখে পড়তে হবে।”
এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এবি যুব পার্টির প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন রমিজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মাহমুদ আজাদ এবং মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা।
এবি পার্টির এই বিক্ষোভ সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে জনমত তৈরি করা এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা।