সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে একটি গুরুতর মন্তব্য করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকারের পতন পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের লোকজন ছাত্রদের আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাঁর মতে, জামায়াত-শিবিরের এই নিয়ন্ত্রণের প্রমাণ অনলাইনেও দেখা যায়, যেখানে তারা ছাত্রদের বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন যে, এই বিষয়টি জামায়াত-শিবিরের সদস্যরাও নিজেদের স্বীকার করেছে।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে করা পোস্টে জয় আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে তাদের কর্মকাণ্ড আপনারা দেখেছেন।” তিনি তার বক্তব্যে প্রকাশ্যে উল্লেখ করেন যে, জামায়াত-শিবির এখন বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধে অবদান অস্বীকার করছে এবং নিজেদের রাজাকার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে।
সজীব ওয়াজেদ জয় তার পোস্টের পাশাপাশি একটি ভিডিওও শেয়ার করেন, যেখানে তিনি দেশের ইতিহাসের অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে জনগণের সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “রিসেট বাটন চেপে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সব ইতিহাস মুছে দেওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার ছিল, আছে এবং থাকবে।”
জয়ের বক্তব্যগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, এবং এর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পর্কের বিষয়টি অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলে। জামায়াত-শিবিরের এই নিয়ন্ত্রণ ও তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য ছাত্রদের যে রাজনীতি প্রভাবিত হচ্ছে, সেটিও একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
এ ধরনের মন্তব্য এবং ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করতে চেয়েছেন, যেখানে তিনি দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর অবদানকে রক্ষা করার জন্য জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের এই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় তিনি নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জয় যে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছেন, সেগুলো দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর একটি গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। ছাত্রদের আন্দোলনের রাজনৈতিক পটভূমি, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, এবং জামায়াত-শিবিরের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্লেষণ আগামী দিনগুলোতে আরও জোরালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।