জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন যে, একটি চক্র দলটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং তাদের ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দলের বনানী কার্যালয়ে এক প্রেসিডিয়াম সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদেরের ভাষ্য অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পরেও জাতীয় পার্টি এখন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলায় দলটির বিরুদ্ধে অবিচার করা হচ্ছে।
জি এম কাদের আরও বলেন, “জাতীয় পার্টি সর্বতোভাবে ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছে এবং সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে রংপুরে, মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে দলের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেছেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক গ্রেপ্তার হলে জাতীয় পার্টি তাদের মুক্তির দাবি জানায় এবং আন্দোলনে গুলি চালানোর প্রতিবাদও করেছে।” জি এম কাদের ছাত্রদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমি সংসদে ছাত্র আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে অভিহিত করেছি এবং বলেছি চাকরির কোটাপদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থী। জাতীয় পার্টি সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।”
সভায় কাদের আক্ষেপ করে বলেন, ছাত্র আন্দোলনে তাদের সমর্থন দেওয়ার পরেও জাতীয় পার্টিকে ষড়যন্ত্রের শিকার করা হচ্ছে। যারা ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। “এই অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না,” বলেন জি এম কাদের। তিনি ঘোষণা দেন, “আমরা রাজপথে নেমে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানাবো। রংপুরের মানুষ আগেও আন্দোলন করে আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বাঁচিয়েছে, এবারও তারাই আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।”
জি এম কাদের দাবি করেন, “আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু সত্য হচ্ছে, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি; আমাদের জোর করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে।” তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জাতীয় পার্টির রাজনীতি কখনোই ক্ষমতালোভী নয়, বরং দেশের মানুষের পক্ষে কাজ করাই দলের মুখ্য উদ্দেশ্য।
এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হকসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা।