টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান কেইন উইলিয়ামসন। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে মিচেল স্যান্টনারকে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে স্যান্টনারের এই দায়িত্ব আপাতত শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য নির্ধারিত, এবং স্থায়ী অধিনায়ক কে হবেন তা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কেইন উইলিয়ামসন নিউজিল্যান্ড দলের জন্য অত্যন্ত সফল একজন অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত। তিনি ৯১টি ওয়ানডে ও ৭৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। শুধু সাদা বলের ক্রিকেটেই নয়, টেস্ট ফরম্যাটেও তাঁর অধীনে নিউজিল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। এরপর, ২০২৩ সালের জুনে, পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোনিবেশ করার উদ্দেশ্যে নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন উইলিয়ামসন। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্তের ফলে দলের অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে নতুন একজন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, যা পূরণ করতে মিচেল স্যান্টনারকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো কিছু নতুন মুখকে সুযোগ দিয়েছে। অলরাউন্ডার নাথান স্মিথ ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মিচ হে এই সফরে নিজেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অভিষেক করার সুযোগ পাচ্ছেন। নাথান স্মিথ গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের সেরা ঘরোয়া ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং মিচ হে চলতি বছরের শুরুতে ক্যান্টারবেরি ক্লাবের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নিউজিল্যান্ড দল বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছে, যেখানে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য ভারত সফরে থাকা টম ব্লান্ডেল, ডেভন কনওয়ে, টম ল্যাথাম, ড্যারিল মিচেলসহ মোট আটজন খেলোয়াড়কে বিবেচনা করা হয়নি। উইলিয়ামসনও চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন। শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য ঘোষিত নিউজিল্যান্ড দলে তাঁদের পরিবর্তে নতুনদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ৯ নভেম্বরে ডাম্বুলায়। দুই দলের মধ্যে ২টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। গত মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত দুটি টেস্টে নিউজিল্যান্ড পরাজিত হয়েছিল, তাই এই সিরিজ তাদের জন্য একটি প্রতিশোধের সুযোগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।