বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান মানেই এক অনন্য প্রতিভা, যিনি দলের জন্য একাধিক ভূমিকা পালন করেন। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং—এই তিন বিভাগেই তাঁর পারফরম্যান্স সবসময় উল্লেখযোগ্য। একজন অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের গুরুত্ব এতটাই যে, তাঁর না থাকা মানে দলের শক্তিতে একটি বড় শূন্যতা। সাকিব যখন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন, তখনও তাঁর বোলিং দিয়ে দলকে জেতানোর ক্ষমতা রয়েছে। আবার বোলিংয়েও যদি প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না আসে, তাঁর ব্যাটিংয়ে ভরসা রাখা যায়। এ কারণেই সাকিব আল হাসানকে দলে রাখা মানে দুইজন খেলোয়াড়কে একসঙ্গে পাওয়ার সমান।
সাকিব না খেললে, বাংলাদেশ দলের ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বাঁহাতি স্পিন বোলিংয়ের পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর মতো একজন ক্রিকেটার না থাকলে, দলকে নতুন করে কৌশল সাজাতে হয়। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর মতে, সাকিবের মতো একজন অলরাউন্ডার না থাকলে, তা দলের জন্য একটি বিশাল ধাক্কা। নাজমুল হোসেন বলেন, “একজন অধিনায়কের জন্য অবশ্যই এটি অনেক কঠিন। হয়তো আমরা বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান বা বোলার নিয়ে খেলতে পারতাম, কিন্তু এখন সেটি সম্ভব হবে না। এই মুহূর্তে সাকিব ভাইয়ের মতো কোনো ক্রিকেটার মনে হয় না আমাদের দলে আছে।”
সাকিব আল হাসানের অবদান শুধুমাত্র তাঁর ব্যাটিং বা বোলিংয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাঁর নেতৃত্ব গুণও দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাঁর অভিজ্ঞতা, মাঠে উপস্থিতির দৃঢ়তা, এবং চাপ সামলানোর দক্ষতা দলের জন্য অমূল্য। ফলে, সাকিবের অনুপস্থিতি শুধু পারফরম্যান্সের দিক থেকেই নয়, দলের মনোবল ও কৌশলগত দিক থেকেও বিশাল প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশ দলের নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টও সাকিবের অভাব পূরণে সর্বদা বিকল্প খেলোয়াড় খুঁজতে হয়, যা মোটেই সহজ কাজ নয়।
সাকিবের অভাব পূরণ করতে গেলে সাধারণত দুজন খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে হয়—একজন বোলার ও একজন ব্যাটসম্যান। কিন্তু সেটাও কখনোই সাকিবের সমমানের বিকল্প হয় না। কারণ, সাকিবের দক্ষতা এবং মাঠে তাঁর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তোলে।