ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২4: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা মানহানির মামলায় আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন। রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক আরাফাতুল রাকিব এই রায় দেন। একইসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
মামলার পেছনের ইতিহাস অনুসারে, জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক ২০১৯ সালে একটি আলোচনা সভায় তারেক রহমানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মানহানির মামলা দায়ের করেন। মামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে মামলার কার্যক্রমে উপস্থিত না থাকায় আদালতের কাছে খালাসের আবেদন জানানো হয়। অবশেষে আদালত তারেক রহমানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে মুক্তি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে বিএনপির সহ আইনবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জানান, আদালতের এই সিদ্ধান্ত দলের জন্য একটি বড় বিজয়। তিনি বলেন, “মামলার ভিত্তি দুর্বল ছিল এবং এতে কোনো আইনি নির্ভরতা ছিল না। আজ আদালত ন্যায়বিচারের পথ ধরে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।”
এই মামলাটি ছাড়াও গত সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকের দায়ের করা চারটি পৃথক মানহানির মামলায় খালাস পান। এই রায়গুলিও দলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ আইনি সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়া, তারেক রহমান সম্প্রতি আরেকটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দেন। মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচারিত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ আনা হয়।
বিএনপি নেতৃবৃন্দের মতে, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারি নিপীড়নের একটি অংশ। তবে আদালতের রায়গুলো প্রমাণ করে যে এ ধরনের মামলাগুলো আইনি ভিত্তিহীন ছিল।
এই ধারাবাহিক খালাস বিএনপির জন্য একটি ইতিবাচক দিক এবং দলের নেতাদের পুনরায় সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।